গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় শিবপুর পাচঁগাছি বাজার ফজরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মোফাজ্জল হোসেন।
মোফাজ্জল হোসেন জানান, দুপুর ১২টার দিকে এই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেকেন্দার আলী মণ্ডলের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসেনের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরেই কেন্দ্রটিতে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেকেন্দার আলী মণ্ডলের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে সব ভোট জোর করে মেরে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তার সমর্থকরা বাধা দেয়। এতে তারা তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে মারপিট করে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেকেন্দার আলী মণ্ডল জানান, কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেনের প্রার্থীরাই তার ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করার কথা জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজেন্দ্র নাথ জানান, ১৬টি ইউপির ১৬১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। কিন্তু দুপুরে দুই প্রার্থীর মধ্যে হামলার ঘটনার পর পাচঁগাছি বাজার ফজরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইজার উদ্দিন।